নিউজ ডেস্ক: ‘ধর্মীয় উস্কানি’ দিয়ে কুমিল্লায় পরপর দুর্গা মণ্ডপে হামলা ও ভাঙচুরের পর বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার কড়া পদক্ষেপ নিল। যে কোনও পরিস্থিতিতে পুলিশকে কঠোর ভূমিকা নেওয়ার নির্দেশ জারি হয়েছে। কোনও সংখ্যালঘু হিন্দুর আশঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, সরকার সবার নিরাপত্তা বজায় রাখবে এমনই বার্তা দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কুমিল্লার ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে, কেউ ছাড় পাবে না।
বুধবার দুর্গাপূজার অষ্টমী। দিনভর কুমিল্লায় চলে তাণ্ডবলীলা। অভিযোগ, স্থানীয় নানুয়ারদীঘি এলাকার একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরান শরিফ রাখা ছিল মূর্তির কাছে। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এর জেরে একের পর এক মণ্ডপ ভাঙচুর হয়।
https://twitter.com/UnityCouncilBD/status/1448228123556732933?s=20
বিবিসি জানাচ্ছে, হামলা ছড়িয়ে পড়ার পর দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বিশৃঙ্খলা রুখতে পুলিশ গুলি চালায় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন জখম হন।
মণ্ডপগুলিতে হামলার কিছু পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্থানীয় কয়েকজন মুসলিম যুবক তুলে ধরেন কেমন করে দুর্গাপূজার সময় ‘ধর্মীয় বিদ্বেষ’ ছড়ানো হয়েছে। সেই বিবরণ ভাইরাল হয়।
তদন্তে নেমে কুমিল্লা জেলা পুলিশ মন্ডপ থেকে উদ্ধার করে সেই ধর্মগ্রন্থ। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে কয়েকজন মিলে মণ্ডপে ঢুকে কোরান শরিফ রেখে এসেছিল। সেই ছবি দেখিয়ে বুধবার সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ানো হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি টহল দিচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বাহিনি (BGB)।
বাংলাদেশ ধর্ম মন্ত্রকের জরুরি ঘোষণায় বলা হয়েছে, “কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননা সংক্রান্ত খবর আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। খবরটি খতিয়ে দেখার জন্য ইতোমধ্যে আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেছি। ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে যে কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না। সবাইকে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।”