হৃদয়ে শৈশবের বরিশাল-রংপুরে না যাওয়া আক্ষেপ, বুদ্ধদেব গুহর প্রয়াণে শোক শেখ হাসিনার

প্রসেনজিৎ চৌধুরী: আর যাওয়াই হলো না জল-জঙ্গলের বরিশালে। কীর্তনখোলা নদীর তীরে, সেই ছোট বেলার অনেক দেখা মনে রেখে দেওয়া স্মৃতির দুনিয়ায়। সেই ছিমছাম বাগান ঘেরা…

Buddhadeb Guha

প্রসেনজিৎ চৌধুরী: আর যাওয়াই হলো না জল-জঙ্গলের বরিশালে। কীর্তনখোলা নদীর তীরে, সেই ছোট বেলার অনেক দেখা মনে রেখে দেওয়া স্মৃতির দুনিয়ায়। সেই ছিমছাম বাগান ঘেরা রংপুরে। জীবনভর বহু পাওয়ার মাঝে একটা আক্ষেপ ছিলই। সেই আক্ষেপ নিয়েই বিদায় নিয়েছেন কিংবদন্তি সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ (Buddhadeb Guha)।

বুদ্ধদেব গুহর জন্ম ১৯৩৬ সালে কলকাতায়। তখনও অভিভক্ত ভারত। পারিবারিক সূত্রে তাঁর ছোটবেলা কেটেছিল বরিশাল ও রংপুরের। পরে ভারত ভাগ হয় প্রিয় দুটি স্থান পড়ে যায় পাকিস্তানে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান বা পূর্ব বাংলা থেকে গিয়েছিল তাঁর হৃদয়ে।

ভয়েস অফ আমেরিকা জানাচ্ছে, এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বুদ্ধদেব গুহ তাঁর শৈশবের স্মৃতি মন খুলে বলেছিলেন। সেই স্মৃতিতে মিশেছিল বরিশাল ও রংপুর। ১৯৭১ সালের পরবর্তী এই দুই স্থান বাংলাদেশের অন্তর্গত।

সেই সাক্ষাৎকারে বুদ্ধদেব গুহ বলেছিলেন, “ছোট বেলায় বাবার চাকরির সূত্রে বরিশাল ও রংপুরে একটা বড় সময় কাটিয়েছিলাম। আহা বরিশালের সেই নদী, গাছপালা এখনো টানে। মনে হয় দৌড়ে ছুটে যাই এখনই। আ হা সেই সব দিন। রংপুরও ছিল অন্য রকম একটি শহর। ছুটে বেড়াতাম স্কুল থেকে খেলার মাঠে।”

বরিশাল ও রংপুর না যাওয়ার আক্ষেপ নিয়েই জীবন খাতার হিসেব শেষ করেছেন বুদ্ধদেব গুহ। তাঁর প্রয়াণ সংবাদে বাংলাদেশের সাহিত্য সংস্কৃতি মহল শোকাচ্ছন্ন।

বুদ্ধদেব গুহর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলাদেশ সরকার। গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, প্রয়াত লেখকের আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
বহুদর্শী জীবনের আক্ষেপ ছিল শৈশবকে না ধরতে পারা। সব ইচ্ছে সবসময় পূরণ হয় না।