নিজেকে নিজে কেন কাতুকুতু দেওয়া যায় না, কারণ জানেন?

Special Correspondent, Kolkata: কাতুকুতুর কুলপি খায়নি বা অন্যকে খাওয়ায়নি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কিন্তু এটা কী কখনও ভেবে দেখেছেন নিজেকে কাতুকুতু দিকে কিন্তু তা…

tickle--india

Special Correspondent, Kolkata: কাতুকুতুর কুলপি খায়নি বা অন্যকে খাওয়ায়নি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কিন্তু এটা কী কখনও ভেবে দেখেছেন নিজেকে কাতুকুতু দিকে কিন্তু তা অনুভূত হয় না।

নিজেকে কখনও সুড়সুড়ি দিয়ে দেখেছেন? নাহ্‌, কিচ্ছু হওয়ার না। এর কারণ হলো, আমাদের পেছনে সেরেবেলাম আছে, যেটা শরীরের নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে। যখন নিজেকে সুড়সুড়ি দেওয়ার চেষ্টা করবেন, সেরেবেলাম মহাশয় আগেই বুঝে যাবেন এবং মস্কিষ্ককে বলে দেবেন, ওই যে আসিতেছে। আর তাতেই মস্কিষ্ক সুড়সুড়ির হুঁশ হারিয়ে চুপ হয়ে যাবে। কিছুই টের পেতে দেবে না। নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা করছে, মস্তিষ্ক এমন আচরণ করে কেন? আসলে, এটা করে ইন্দ্রিয়জনিত বা সংবেদন অপচয় রোধের জন্য।

আমাদের ব্রেন কিন্তু অপ্রয়োজনীয় তথ্যগুলোকে ফিল্টার করে ফেলে। এতে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো মনোযোগ দিয়ে কাজে লাগানো যায়। নিজের হাতের ছোঁয়া ব্রেন অতটা প্রয়োজনীয় মনে করে না। তাই আমাদের মন এই অনুভূতিতে সচেতন হওয়ার আগেই ব্রেন এই তথ্যকে প্রত্যাখ্যান করে দেয়। তবে, এদিক-ওদিক থেকে সুড়সুড়ি এলে সেরেবেলাম আগে থেকে বুঝতে পারে না, তাই প্রতিরোধও করতে পারে না।

তাহলে শরীরের কোনো নির্দিষ্ট অংশে কাতুকুতু বেশি লাগে কেন? সাধারণত, শরীরের যে অংশগুলিতে হাড় থাকে না বা তুলনামূলক কোমল হয়, সেই অংশগুলিতে কাতুকুতুর অনুভূতি বেশি হয়, যেমন-পেটের পাশে বা নিচে অথবা পায়ের পাতার নিচে। বিজ্ঞানীদের মতে, এর পিছনে কাজ করে *মানুষের আত্মরক্ষার তাগিদ*। পায়ের পাতার নিচ, পেটের পাশ, ঘাড় এসব জায়গা খুব সংবেদনশীল। সামান্য আঘাতে অসামান্য পরিণতি ঘটতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে এসব অংশকে রক্ষা করার জন্য সুড়সুড়ির অনুভূতি সতর্কসংকেত হিসেবে কাজ করে।

তবে সাবধান, কাতুকুতু ডোজ বুঝে ওষুধ খাওয়ানোর মতো বুঝেশুনে প্রয়োগ করতে হবে। ওভারডোজ হয়ে গেলে মহা সমস্যা, দেখা গেলো যার উপর প্রয়োগ করলেন সে রেগেমেগে অবস্থা খারাপ। আর জানেন তো, সব ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। তাই যেকোনো সময় প্রতিপক্ষ পালানোর চেষ্টা না করে আপনাকেই পাল্টা আক্রমণ করে বসতে পারে। তাই কাতুকুতুর যুদ্ধে আত্মরক্ষার টেকনিক শিখেই মাঠে নামবেন।