Lakhimpur Kheri: ঘটনার পুনর্গঠন করার জন্য আশিস মিশ্রকে নিয়ে যাওয়া হল লখিমপুরে

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: লখিমপুরে (Lakhimpur Kheri) গাড়িচাপা দিয়ে চার কৃষকের মৃত্যুর ঘটনাটি পুনর্গঠন করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর ছেলে আশিস মিশ্রকে বৃহস্পতিবার লখিমপুরে নিয়ে…

Ashish Mishra was taken to Lakhimpur

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: লখিমপুরে (Lakhimpur Kheri) গাড়িচাপা দিয়ে চার কৃষকের মৃত্যুর ঘটনাটি পুনর্গঠন করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর ছেলে আশিস মিশ্রকে বৃহস্পতিবার লখিমপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। আশিসের সঙ্গেই নিয়ে যাওয়া হয় তার বন্ধু অঙ্কিত দাসকে। ঘটনা পুনর্গঠন করার জন্য ব্যবহার করা হয় পুলিশের গাড়ি।

সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, পুলিশের একটি জিপ বেশ কয়েকটি ডামিকে পর পর ধাক্কা মারছে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই গোটা এলাকাটি পুলিশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। এই ছবি সামনে আসতে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে ৩ অক্টোবর ঘটনার দিন কেন ওই এলাকাটি পুলিশ দিয়ে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়নি।

ঘটনার পরের দু’দিন অনেকেই সেখানে গিয়েছিলেন। ফলে লখিমপুরের ঘটনার অনেক তথ্য-প্রমাণে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। গত সপ্তাহে মন্ত্রীর ছেলেকে গ্রেফতার করেছিল যোগী সরকারের পুলিশ। আপাতত আশিস পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। বৃহস্পতিবারই যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সূত্রের খবর মন্ত্রী পুত্রকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য শুক্রবার আদালতে আবেদন করবে পুলিশ।

বুধবার রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেন। ওই প্রতিনিধি দলটি রাষ্ট্রপতিকে লখিমপুরে ঘটনা নিয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলতে অনুরোধ করে। অন্যদিকে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী স্পষ্ট বলেছেন, যতদিন আশিসের বাবা কেন্দ্রে মন্ত্রী থাকবে ততদিন লখিমপুরের ঘটনার ন্যায় বিচার সম্ভব নয়।

এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার মহাষ্টমীর দিন সকালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর ভাষণের একটি ভিডিয়ো টুইট করেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী। ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বাজপেয়ী তাঁর ভাষণে স্পষ্ট বলছেন, কৃষকদের ভয় দেখালে কখনওই ফল ভাল হবে না। আমি সরকারকে বলতে চাই, কৃষকদের ভয় দেখাবেন না। কারণ কৃষকরা ভয় পায় না। আমরা কৃষকদের কখনোই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চাই না। বরং আমরা কৃষকদের ন্যায্য দাবি সমর্থন করি। তবে ওই ভিডিয়োটি ঠিক কবে তোলা হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। ওই টুইটের শেষে বরুণ লিখেছেন, এক হৃদয়বান মহান নেতা যা বলেছেন তা যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত এবং আজকের দিনও একই রকম প্রাসঙ্গিক। বরুণ এই ভিডিয়ো পোস্ট করে এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তিনি আর চুপ করে থাকবেন না। বরং দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তিনি এবার মুখ খুলবেন।